Download Our App


ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079

ডিগ্রী অনার্স বই App এ পেতে Whatsapp এ nock করে User ID নিয়ে Login করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

প্রশ্নের উত্তর

সালিশ কী?

অথবা, সালিশ বলতে কী বুঝ?
অথবা, সালিশ কাকে বলে?
অথবা, সালিশ সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর৷ ভূমিকা :
বাংলাদেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ঐতিহ্যগত বিচার প্রথা সালিশ। সালিশ হচ্ছে মূলত পাড়া ও গ্রামভিত্তিক স্থানীয় লোক সমাজের বিচার ব্যবস্থা। প্রচীনকাল থেকে বাংলাদেশের পল্লি অঞ্চলে সালিশ ব্যবস্থা প্রচলিত আছে।
সালিশ : সালিশ শব্দটি এসেছে আরবি ‘ছালাছা’ শব্দ হতে। ‘ছালাছা’ শব্দের অর্থ হচ্ছে তিন। সালিশ শব্দের ইংরেজি অর্থ করা হয়েছে An umpire বা An arbitrator অর্থাৎ মধ্যস্থকারী। এখানে ‘ছালাছা’ শব্দ দ্বারা তৃতীয় ব্যক্তিকে বুঝানো হয়েছে। দুই ব্যক্তির মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হলে তৃতীয় ব্যক্তি তার মধ্যস্থতা করে দেয়। তৃতীয় ব্যক্তির মধ্যস্থতা করার প্রক্রিয়াই হচ্ছে সালিশ। আমাদের গ্রাম সমাজে এ সালিশ কথাটার ব্যাপক ব্যবহার আছে। গ্রামে সালিশ বলতে আমরা বুঝে থাকি একটি বিচার ব্যবস্থা। সালিশ সম্পৰ্কীয় কিছু শব্দ আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে। যেমন- সালিশদার, সালিশনামা, সালিশ বৈঠক। এক সময়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষ কোট কাছারী, থানা-পুলিশ ও মামলা-মকদ্দমার কথা শুনলে খুবই ভয় পেত। কেননা তারা সব সময়ই ঝামেলামুক্ত জীবনযাপন করতে আগ্রহী। এমনিতর পরিস্থিতিতে গ্রামের মধ্যে কোনো প্রকার গণ্ডগোলের সৃষ্টি হলে গ্রামের মানুষের মাধ্যমেই তার একটা সুরাহা করে শান্তি স্থাপন করা হতো। আর যে সকল বিচারক এর মধ্যস্থতা করে দেয় তারাই সালিশদার। সালিশ করার পূর্বে বাদী ও বিবাদীকে ডেকে উদ্ভূত পরিস্থিতির আলোকে একটি অঙ্গীকার পত্র প্রণয়ন করা হয়। এ পত্রকেই বলা হয় সালিশনামা। সালিশনামাতে বাদী ও বিবাদী উভয়ের স্বাক্ষর বা টিপসই থাকে। তাছাড়াও গ্রামের প্রধান ব্যক্তিদের স্বাক্ষর নেয়া হয়। সালিশনামায় দিন, তারিখ ও স্থান ধার্য করে থাকে। সে মোতাবেক যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় তাকেই সালিশ বৈঠক বলে। অনেক সময় দেখা যায়, কোনো কোনো জটিল মীমাংসার জন্য গ্রামের বাইরে থেকে সালিশদারকে আহ্বান করা হয়।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায়, গ্রামীণ বাংলাদেশে আজো সালিশ ব্যবস্থা জনপ্রিয়, দ্বন্দ্ব-সংঘাত, দাঙ্গা-বিরোধ যে কোনো ইস্যুতে অনেকেই থানা-পুলিশের পরিবর্তে সালিশ-বিচারে অধিক আগ্রহ প্রকাশ করে। গ্রামীণ সমাজে ন্যায়বিচার, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সালিশের গুরুত্ব অপরিসীম।

হ্যান্ডনোট থেকে সংগ্রহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!