
ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079
রেনেসাঁ দর্শনের বৈশিষ্ট্যগুলো সংক্ষেপে লিখ।
admin
- 0
অথবা, রেনেসা দর্শনের বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?
অথবা, রেনেসাঁ দর্শনের বৈশিষ্ট্য বা প্রকৃতি তুলে ধর।
অথবা, রেনেসাঁ দর্শনের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে যা জান লেখ।
অথবা, রেনেসাঁ পরবর্তী দর্শন কী?
উত্তর।৷ ভূমিকা : অতিপ্রাকৃত বিষয়াদির পরিবর্তে প্রকৃতিকে জানা ধর্মকেন্দ্রিক চিন্তার পরিবর্তে স্বাধীন চিন্তা এবং প্রাকৃতিক সমস্যাবলি সমাধানের যে চিন্তাচেতনা চৌদ্দ শতকের দিকে শুরু হয় তাই রেনেসাঁ আন্দোলন। এ রেনেসাঁ আন্দোলন আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ইতালিতে শুরু হয়েছিল।
রেনেসাঁ দর্শনের বৈশিষ্ট্য :
প্রথমত, রেনেসাঁ দর্শনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো প্রাচীন গ্রিকদের দর্শন পাঠের প্রতি এক ব্যাপক ও সুগভীর আগ্রহ।
দ্বিতীয়ত, রেনেসাঁ দর্শন মানবতাবাদী দর্শন। ধর্মীয় বিষয়াদি বাদ দিয়ে শুধু মানুষ ও তার সমাজ নিয়ে জ্ঞান চর্চা করাই হলো মানবতাবাদী।
তৃতীয়ত, রেনেসাঁর উদ্ভব হয়েছিল মানুষের যুক্তিবাদী চিন্তাচেতনা থেকে। রেনেসাঁর যুগে মানুষ মধ্যযুগীয় ধ্যান ধারণাকে যুক্তির আলোচনায় যাচাই করতে শুরু করে ফলে মধ্যযুগীয় অনেক তত্ত্বই ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়।
চতুর্থত, এ সময় মধ্যযুগীয় গোটা স্কলাস্টিক পদ্ধতিকে বাকচাতুর্য ও অহেতুক দ্বান্দ্বিক বিশ্লেষণ বলে প্রত্যাখ্যান করা হয় এবং এক নতুন লজিক প্রবর্তনের চেষ্টা করা হয়।
পঞ্চমত, রেনেসাঁর প্রথম দিকে মানুষের চিন্তা ছিল অপরিপক্ক এবং অনেকাংশে প্রাচীন ঘেষা। তবে পরবর্তীতে মানুষের চিন্তায় ক্রমশ অধিকতর স্বাধীন ও মৌলিক হতে শুরু করে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, রেনেসাঁ সংঘটিত না হলে আধুনিক যুগের উত্তরণ আদৌ সম্ভব হতো না। তাই রেনেসাঁর মাত্র ২০০ বছর পরেই সভ্যতা আধুনিকতার চরম শিখরে পৌঁছায়।