প্রশ্নের উত্তর

রাজনৈতিক দলগুলোর গঠনতন্ত্রে নারীর এজেন্ডা কী?

অথবা, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর গঠনতন্ত্রে নারীর এজেন্ডাগুলো আলোচনা কর।
অথবা, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর গঠনতন্ত্রে নারীর এজেন্ডাগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে বিবরণ দাও।
অথবা, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর গঠনতন্ত্রে নারীর এজেন্ডাগুলোর বর্ণনা দাও।
উত্তর৷ ভূমিকা :
ঐতিহাসিক বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ ঘটেছে। বাংলাদেশের সংবিধানেও জনজীবনের সর্বস্তরে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত ও বৃদ্ধি করার জন্য বিশেষ বিধান সংযুক্ত হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোতে নারীর অংশগ্রহণের পথ প্রশস্ত নয়। অনেকভাবেই এ পথকে রুদ্ধ করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর গঠনতন্ত্রে নারী এজেন্ডা যথেষ্ট গুরুত্ব লাভ করেনি।
বিভিন্ন দলের গঠনতন্ত্রে নারী এজেন্ডা : রাজনৈতিক দলের গঠন, সংগঠন, পরিচালনা, কমিটি ব্যবস্থা, সদস্য সমর্থক, কর্মীর দায়িত্ব কর্তব্য ইত্যাদি নির্ধারিত ও পরিচালিত হয় গঠনতন্ত্রের মাধ্যমে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর গঠনতন্ত্রে নারী এজেন্টা খুব বেশি স্পষ্ট নয়। নিম্নে এগুলো তুলে ধরা হলো :
১. বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের প্রাচীনতম এবং অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল। এদলের গঠনতন্ত্রের ২৩(ঘ) ধারায় বলা হয়েছে, মহিলা আওয়ামী লীগের প্রধান সম্পাদিকা পদাধিকার বলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা হবেন।” তিনি নারীদেরকে দলের সদস্যভুক্ত করবেন এবং দলীয় আলোচনায় নারীদের সমস্যা তুলে ধরবেন।
২. বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (BNP) : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এর ঘোষণা পত্রে বলা হয়েছে যে, দলের একজন মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা থাকবেন এবং জাতীয় কাউন্সিলে প্রতি জেলা ও নগর নির্বাহী কমিটি কর্তৃক মনোনীত হবেন দুজন মহিলা সদস্য। জাতীয় নির্বাহী কমিটির ১৪০ জন সদস্যের মধ্যে ১০ শতাংশ মহিলা সদস্য রাখার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া সার্বিক নারী মুক্তি ও প্রগতির কথাও বলা হয়েছে।
৩. জাতীয় পার্টি : জাতীয় পার্টির ১০টি মূলনীতির মধ্যে নারী বিষয়ে কোনো মূলনীতি নেই। তবে ১৮ দফা কর্মসূচির মধ্যে নারী শিক্ষার প্রসার, সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমমর্যাদা ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা, সরকারি চাকরিতে নারীর সংরক্ষিত আসন বৃদ্ধি ও পেশাজীবী নারীদের জন্য বাসস্থান নির্মাণের কথা বলা হয়েছে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে শেষে বলা যায় যে, ধর্মীয় আদর্শ অনুসারী রাজনৈতিক দলগুলো ব্যতীত অন্যান্য রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, নারী বিষয়ক এজেন্ডা যথেষ্ট নয়। প্রতিটি দলের বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন ।

হ্যান্ডনোট থেকে সংগ্রহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!