
ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079
মানবাধিকার কমিশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সংক্ষেপে আলোচনা কর।
admin
- 0
অথবা, মানবাধিকার রক্ষায় মানবাধিকার কমিশনের কার্যাবলি সংক্ষেপে আলোচনা কর।
অথবা, মানবাধিকার রক্ষায় মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা সম্পর্কে লিখ।
অথবা, মানবাধিকার রক্ষায় মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা তুলে ধর।
অথবা, মানবাধিকার রক্ষায় মানবাধিকার কমিশনের কার্যক্রম লিখ।
উত্তরা৷ ভূমিকা : বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সৃষ্টকাল হতে অসহায়, নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের আইনগত সাহায্য ও মৌলিক মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে সোচ্চার। এটা জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক অরাজনৈতিক ও সমষ্টিকেন্দ্রিক আইনগত সাহায্য এবং মানবাধিকার শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান । একে মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার উত্তরসূরিও বলা যায়।
মানবাধিকার রক্ষার ভূমিকা বা কার্যক্রম : মানবাধিকার রক্ষায় মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা ও কার্যাবলি নিম্নে আলোচনা করা হলো :
১. আইনগত সহায়তা : অন্যান্য সংস্থার সাথে Legal aid দেয়ার পার্থক্যটা হচ্ছে এরা আইনগত সাহায্য দেয়ার পাশাপাশি Development legal aid দিয়ে থাকে। এদের Target group হচ্ছে পেশাজীবী, নির্যাতিত শ্রেণি যারা অসুবিধাগ্রস্ত তাদের জন্য আর্থসামাজিক উন্নয়নে পারিবারিক, বৈবাহিক মানহানি, রেপ, ডিটেনশন প্রভৃতি সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আইনগত সাহায্য দিয়ে থাকে।
২. তদন্ত পরিচালনা : এদের একটা নিজস্ব তদন্ত বিভাগ আছে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বা কোনো Client এর অভিযোগের ভিত্তিতে দেশের যেকোনো অঞ্চলে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনার উপর এরা সরেজমিনে নিরপেক্ষভাবে তথ্যানুসন্ধান করে থাকে। এখানে একটি দল থাকে যারা নিয়মিত তথ্যসংগ্রহ করে। এর উদ্দেশ্য দুটি। যথা :
ক. আনীত অভিযোগের সত্যতা যাচাই ।
খ. পরবর্তীতে আইনগত প্রক্রিয়ায় দলিল বা নথি হিসেবে উপস্থাপন করা।
৩. মানবাধিকার শিক্ষা কর্মসূচি : বলা হয় ‘Education is the panacea for of all development’. সুতরাং শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষা না থাকলে কিছুই হয় না। তাই এ কমিশন নিম্নোক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে :
ক. স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে মানবাধিকার শিক্ষা চালু করা এবং মানবাধিকার পুস্তক ও পত্রিকা বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
খ. স্থানীয় পর্যায়ে ছোটখাট বিচারআচার আদালত পর্যায়ে না নিয়ে গ্রামীণ অথবা থানা বা উপজেলা পর্যায়ে নিরপেক্ষভাবে মীমাংসার ব্যবস্থা করা।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মানবাধিকার সংবিধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ অধিকার সংরক্ষণে সরকার বদ্ধপরিকর। আর তাই বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার পাশাপাশি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079