
ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079
বাংলাদেশে নারীর নৈতিক অধিকার কী কী?
admin
- 0
অথবা, বাংলাদেশে নারীর আইনগত সংক্ষেপে আলোচনা কর ।
অথবা, বাংলাদেশে নারীর আইনগত অধিকারগুলো উল্লেখ কর।
অথবা, বাংলাদেশে নারীর আইনগত অধিকার সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : অন্যান্য অধিকারের মতো বাংলাদেশের নারী সমাজ আইনগত অধিকারের বেলায় পুরুষদের তুলনায় পিছিয়ে আছে। সংবিধানে যদিও নারী, পুরুষকে সমান অধিকার দেয়া হয়েছে কিন্তু ধর্মীয় আইন মতে,
বাংলাদেশের নারী এবং পুরুষ সবাই সমান নয়, বরং নারী এবং পুরুষের আইনগত অধিকারের ক্ষেত্রে অনেক বৈষম্য দেখা
যায়। নিম্নে মারীর আইনগত অধিকার উল্লেখ করা হলো?
১. মুসলিম বিবাহ আইন : বাংলাদেশের বিবাহ আইনে একজন মেয়ের বয়স ১৮ বছর এবং একজন পুরুষের ২১ বছর হতে হবে। এর আগে বিবাহ হলে তাকে আইনত দণ্ডনীয় হতে হবে। বাংলাদেশের মুসলিম বিবাহ আইনে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার সম্মতি ছাড়া বিবাহ বৈধ হবে না এবং এ সম্মতি কাজীর সামনে হতে হবে। তাছাড়া ছেলে কর্তৃক
মেয়েকে অবশ্যই দেন মোহর দিতে হবে।
২. বিবাহ বিচ্ছেদ আইন : মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইনে মহিলাদের আধিকারগুলো হলো :
ক. স্বামী কর্তৃক কাবিনের টাকা পরিশোধ করতে হবে।
খ.তিন মাস পর্যন্ত মহিলাদের ভরণপোষণ দিতে হবে। তবে বর্তমানে দেখা যায় যে, যেসব মহিলা একেবারেই দুস্থ যাদের কোনো আর্থিক সম্পত্তি নেই আদালত কর্তৃক স্বামীদেরকে নির্দেশ দেয়া হয় যে, স্বামীরা ঐসব তালাকপ্রাপ্ত মহিলার সারা জীবনই ভরণপোষন চালাতে বাধ্য।
গ. ছেলেসন্তান মহিলাদের সাথে সাত বছর এবং মেয়ে সন্তান বয়োপ্রাপ্ত হওয়া পর্যন্ত মহিলার সাথে থাকতে পারবে।
৩. সম্পত্তির উত্তরাধিকার আইন : মেয়েরা সম্পর্কের ক্ষেত্রে চার ধরনের হয়। যেমন- ১. মা, ২. স্ত্রী, ৩. কন্যা এবং৪. বোন। আর এ ক্ষেত্রগুলোর পরিসর হিসেবে তারা সম্পত্তির উত্তরাধিকার হয়ে থাকে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে বলা যায়, অসংগতি সমাজের দুরারোগ্য ব্যাধি। এ ব্যাধি দূর করার দায়িত্ব সবার। নারী পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে নারী পুরুষে সমঅধিকার নিশ্চিত করতে।