
ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079
বাংলাদেশের পলিউন্নয়ন কর্মসূচির উদ্দেশ্যাবলি আলোচনা কর ।
admin
- 0
অথবা, বাংলাদেশে পল্লিউন্নয়ন কর্মসূচির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বর্ণনা কর।
অথবা, বাংলাদেশের পল্লিউন্নয়ন কর্মসূচির লক্ষ্যসমূহ আলোচনা কর।
অথবা, বাংলাদেশের পল্লিউন্নয়ন কর্মসূচির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আলোচনা কর।
অথবা, বাংলাদেশের পল্লিউন্নয়ন কর্মসূচির উদ্দেশ্যাবলি বর্ণনা কর।
অথবা, বাংলাদেশের পল্লিউন্নয়ন কর্মসূচির লক্ষ্যগুলো কী কী? বর্ণনা কর।
উত্তর।৷ ভূমিকা : পল্লিউন্নয়ন বা গ্রাম উন্নয়ন বলতে গ্রামের সকল শ্রেণি বা সকল স্তরের মানুষের সমউন্নয়ন বুঝায় । অর্থাৎ শ্রেণি, বর্ণ ও স্তরভেদে গ্রামের সকল মানুষের জীবনধারণের মান সমভাবে উন্নয়ন ঘটলে তাকেই বলা হয় পল্লিউন্নয়ন। শহরের তুলনায় বাংলাদেশের গ্রামগুলো খুবই অনুন্নত। বিশেষ করে গ্রামবাসীরা সকল ক্ষেত্রেই অবহেলিত। স্বাভাবিক জীবনযাপনে যে সকল সুযোগ সুবিধার প্রয়োজন বাংলাদেশের অনেক গ্রামই তা থেকে বঞ্চিত। এক কথায় গ্রামগুলো নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। তাই গ্রামগুলোকে বাঁচাতে হলে প্রয়োজন এর আশু উন্নয়ন।
বাংলাদেশে পল্লিউন্নয়ন কর্মসূচির উদ্দেশ্যাবলি : বাংলাদেশ একটি গ্রাম এখান গ্রামকে নিয়ে দেশের উন্নয়নের স্বপ্ন। আর এ স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে প্রয়োজন গ্রামীণ উন্নয়ন বা পরিউন্নয়ন নিয়ে পল্লি উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মালোকপাত করা হলো।
১. মানব সম্পদ উন্নয়ন : বাংলাদেশের পল্লি অঞ্চলের প্রধান সম্পন্ন মানুষ। তাই মানব সম্পদ উন্নয়নের জন্য শিক্ষার হার বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যের উন্নতি প্রয়োজন। অতএব, শিক্ষার হার, গড় আয়ুষ্কাল ইত্যাদি পল্লি উন্নয়নের অন্যতম সূচক
২. জমির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি : পল্লি অর্থনীতিতে শ্রমের পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ভূমি। কিন্তু ভূমির পরিমাণ বৃদ্ধির বিশেষ অবকাশ নেই। তাই উন্নয়ন কৌশলের উদ্দেশ্য হচ্ছে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা।মডেলের সাফল্য নির্ভর করে আধুনিক প্রযুক্তি, সেচ, সার ও উন্নত বীজ ব্যবহারের মাত্রার উপর। অতএব, কত শতাংশ চাষযোগ্য জমিতে যান্ত্রিক সেচ, উন্নত বীজ ইত্যাদি ব্যবহার করা হচ্ছে তা উন্নয়নের সূচক বলে বিবেচিত হয়।
৩. কৃষিখাতের ছদ্মবেশী বেকারত্ব দূরীকরণ ও অন্য খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি : পল্লি অঞ্চলে সাধারণত একই ভূমি বঙ্গে
পরিবারের সকল প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ কাজ করে। কিন্তু কয়েকজন মানুষ অন্যত্র সরে গেলেও ঐ খামারের উৎপাদন হ্রাস পায় না। অর্থাৎ কিছু মানুষ থাকে ছদ্মবেশী বেকার। অতএব, উন্নয়ন কৌশলের অন্যতম উদ্দেশ্য হবে কৃষি বহির্ভূত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। অর্থাৎ পল্লি অঞ্চলের বেকারত্বের হার হবে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অন্যতম সূচক।
৪. আয় ও সম্পদ কটনে অসমতা দূরীকরণ : আয় ও সম্পদের অসম বন্টনের কারণে মানুষের জীবনযাত্রার মান নিম্ন হয়। তাছাড়া সকল মানুষ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়। তাই আয় ও সম্পদের বন্টনের অসমতা দূর করা পল্লি উন্নয়নের একটি উদ্দেশ্য।
৫. নারীর ক্ষমতায়ন : বাংলাদেশে গ্রাম্য সমাজে নারী অবহেলিত ও নির্যাতিত। ফলে জনসংখ্যার অর্ধেক এ নারীরা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারে না। তাছাড়া নারীর এহেন অবস্থার কারণে জন্ম নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ব্যর্থ হয়। তাই নারীর ক্ষমতায়ন উন্নয়নের জন্য অত্যাবশ্যক। যে কোনো উন্নয়ন মডেল সফল হবে যখন তার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী শিক্ষার প্রসার ঘটবে।
৬. সূদে প্রাতিষ্ঠানিক ঋণের ব্যবস্থা : কৃষির আধুনিকীকরণ বা অন্য খাতে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের প্রয়োজন। গ্রামের দরিদ্র মানুষ জামানত দিতে পারে না বলে প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ পায় না। অতএব, পঞ্চিউন্নয়ন কৌশলের অন্যতম প্রয়োজন হচ্ছে স্বল্প সুদে প্রাতিষ্ঠানিক সুদের যোগান নিশ্চিত
করা।
৭. গ্রামীণ ক্ষমতা কাঠামোর পরিবর্তন: গ্রামে যার ভূমি ও আয় বেশি তার ক্ষমতাও বেশি। বিগত দিনে দেখা গেছে যে, সরকারি সাহায্য সহায়তা বিভিন্নভাবে ক্ষমতাশীল ব্যক্তিবর্গের পকেট ভারী করেছে। ফলে উন্নয়নের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তাই পল্লিউন্নয়ন কৌশলের একটি উদ্দেশ্য হতে হবে কায়েমি স্বার্থকে উৎখাত করা এবং ক্ষমতা কাঠামোর পরিবর্তন ঘটানো।
৮. আর্থসামাজিক অবকাঠামো নির্মাণ : পল্লি অঞ্চলে রাস্তা,বিদ্যুতায়ন, পয়ঃনিষ্কাশন, পানি সরবরাহ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ইত্যাদির অভাব পল্লি উন্নয়নের প্রধান প্রতিবন্ধক। অতএব, যে কোনো পল্লিউন্নয়ন মডেল সফল হয়ে বলে আর্থসামাজিক অবকাঠামো নির্মাণের উদ্দেশ্য পূরণ করতে হবে।
৯. ভূমিহীন, সম্বলহীন পল্লিবাসীদের জন্য নিরাপত্তা জাল সৃষ্টি : বাংলাদেশের গ্রামে অনেক মানুষ আছে যাদের ভূমি বা অন্য কোনো সম্পদ নেই। ফলে বাজার প্রক্রিয়াতে উন্নয়ন কর্মকাজে তারা যথানৰ অংগ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়।এমতাবস্থায়, এ ধরনের দরিদ্র মানুষের জন্য সাময়িক কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা, আয় উপার্জনের সুযোগ সৃষ্টি করা যে কোনো উন্নয়ন মডেলের উদ্দেশ্য হওয়া বাঞ্ছনীয়।
উপসংহার : উপর্যুক্ত উদ্দেশ্যগুলো যে উন্নয়ন মডেল অধিক পূরণ করবে সে উন্নয়ন মডেলই অধিক সাফল্য অর্জন করতে পারবে। বাংলাদেশে গ্রামীণ অর্থনীতির অনুন্নয়নের সমস্যা জটিল এবং বহুমাত্রা বিশিষ্ট বিধায়ক উপর্যুক্ত অনেক লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে।
পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079