General Knowledge

পিতৃতান্ত্রিক ও মাতৃতান্ত্রিক পরিবারের মধ্যেকার ৫টি পার্থক্য নির্দেশকর।

পিতৃতান্ত্রিক ও মাতৃতান্ত্রিক পরিবারের মধ্যেকার ৫টি পার্থক্য নির্দেশ
কর।
অথবা, পিতৃতান্ত্রিক ও মাতৃতান্ত্রিক পরিবারের মধ্যকার ৫টি বৈসাদৃশ্য তুলে ধর।
অথবা, পিতৃতান্ত্রিক ও মাতৃতান্ত্রিক পরিবারের পার্থক্য নির্দেশ কর।
উত্তর ভূমিকা : পরিবার হলো সমাজের অন্যতম মৌলিক এবং ক্ষুদ্রতম সংগঠন। পৃথিবীতে মানবসমাজের অস্তিত্ব যত দিন পরিবারের অস্তিত্বও তত দিন। পরিবার হলো মানুষের সংঘবদ্ধ জীবনের সার্বজনীন রূপ। পরিবার একটা
গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। পার্থক্যসমূহ : পরিবার একটি সমাজের সবচেয়ে ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান। পরিবারের সর্বময় কর্তৃত্ব নিয়ে গঠিত পিতৃতান্ত্রিক ও মাতৃতান্ত্রিক পরিবারের মধ্যে কিছু পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। তা নিয়ে ছকে উপস্থাপন করা হলো : ‘পিতৃতান্ত্রিক পরিবার নং মাতৃতান্ত্রিক পরিবার যে পরিবারে মাতা বা বয়স্ক মহিলা সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারিণী তাকে মাতৃতান্ত্রিক পরিবার বলে ।
বাংলাদেশের গারো সমাজে এ পরিবার প্রথা দেখা
১. যে পরিবারে পিতা, স্বামী বা বয়স্ক ব্যক্তি সর্বময়
কর্তৃত্বের অধিকারী তাকে পিতৃতান্ত্রিক পরিবার বলে।
রোমান সমাজসহ বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থায় এমনকি
বিশ্বের অধিকাংশ সমাজে এ পরিবার ব্যবস্থা প্রচলিত আছে।
সন্তানের’ বংশ পরিচিতি পুরুষ তথা পিতার দ্বারা
নির্ধারিত হয়। যায়। সন্তানের বংশ পরিচয় বা বংশগতি প্রক্রিয়া মায়ের দ্বারা
নিয়ন্ত্রিত হয়। সন্তানের উত্তরাধিকারী, প্রাপ্ত সম্পদ বা সম্পত্তি প্রভৃতি | উত্তরাধিকারী নীতি মায়ের ভাইয়ের দ্বারা নির্ণীত হয়। পিতার দ্বারা নির্ণীত হয়।
৫. | পিতৃতান্ত্রিক পরিবার ব্যবস্থা বেশি প্রচলিত। এ পরিবার ব্যবস্থা বর্তমান বিশ্বে বিরল । এ পরিবার ব্যবস্থায় যাবতীয় নীতিনির্ধারণ ও কর্তৃত্ব | এ পরিবার ব্যবস্থায় মহিলাই প্রধান। তিনিই সবকিছুর পিতাই ঠিক করেন।
নীতিনির্ধারণ করেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, পিতৃ শাসিত পরিবারকে পিতৃতান্ত্রিক আর মাতৃ শাসিত পরিবারকে মাতৃতান্ত্রিক পরিবার বলে। মূলত আমাদের সমাজব্যবস্থা পিতৃতন্ত্রের আদলে গড়া। তবে মাতৃতন্ত্র যে নেই তা বলা যাবে
না। আমাদের দেশের আদিবাসী বা উপজাতি সমাজব্যবস্থায় মাতৃতান্ত্রিক পরিবার ব্যবস্থা লক্ষ্য করা যায় ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!