
ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079
নারী উন্নয়নের এ্যাপ্রোচসমূহ আলোচনা কর।
admin
- 0
অথবা, নারী উন্নয়নের পদ্ধতিগুলো বর্ণনা কর।
অথবা, নারী উন্নয়নের পদ্ধতিগুলো লিখ।
অথবা, নারী উন্নয়নের পদ্ধতিগুলো কী কী?
অথবা, নারী উন্নয়নের পদ্ধতিগুলোর বিবরণ দাও।
অথবা, নারী উন্নয়নের পদ্ধতিগুলো উল্লেখ কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নারী উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ বা নীতি বা এ্যাপ্রোচ গ্রহণ করেছে। উন্নয়নে নারী সমাজের ভূমিকার স্বীকৃতি এবং দরিদ্র নারীদের কল্যাণের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
নারী উন্নয়নের এ্যাপ্রোচসমূহ : নিম্নে নারী উন্নয়নের এ্যাপ্রোচসমূহ আলোচনা করা হলো :
১. কল্যাণমূলক পদ্ধতি (Welfare approach) : উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নারী সমাজের উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত এ পদ্ধতি খুবই জনপ্রিয় ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রধান নির্ভরশীল গ্রুপ নারী সমাজকে সাহায্য করার জন্য কল্যাণ পদ্ধতির উদ্ভব ঘটে। একজন উত্তম মাতা হিসেবে নারীকে উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্তকরণই এ পদ্ধতির লক্ষ্য।
২. ন্যায়ভিত্তিক পদ্ধতি (Equity approach) : এ পদ্ধতি উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে স্বীকার করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে WID গ্রুপ এ মর্মে নিশ্চিত হয় যে, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে পুঁজিবাদী অর্থনীতি নারী ও পুরুষের মধ্যে অসমতা বৃদ্ধি করছে। এই পটভূমিতে ন্যায়ভিত্তিক পদ্ধতির উদ্ভব ঘটে। এতে মনে করা হয় যে, নারী প্রজনন ও উৎপাদন উভয় ভূমিকা দ্বারাই অর্থনেতিক পদ্ধতিতে অবদান রাখতে পারে।
৩. দারিদ্র্যবিরোধী পদ্ধতি (Anti-poverty approach) : দারিদ্র্যবিরোধী পদ্ধতি নারীর সুবিধা প্রাপ্তিতে গুরুত্ব দেয়। যেমন- নারীর জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হওয়াটাই দারিদ্র্যবিরোধী পদ্ধতির মূল বিবেচ্য বিষয়। দারিদ্র্যবিরোধী পদ্ধতিতে নারী-পুরুষের অসমতা হ্রাস করার লক্ষ্যে আয় বৈষম্য হ্রাস করার উপর গুরুত্ব দেয়।
৪. দক্ষতা পদ্ধতি (Efficiency approach): ১৯৮০’র দশক থেকে নারী উন্নয়নে দক্ষতা পদ্ধতি একটি উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃত হয়ে আসছে। উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন দক্ষতা আর অর্থনীতিতে নারীদের অবদানের মধ্যদিয়ে উন্নয়ন অধিক দক্ষ ও কার্যকর হয়। এ পদ্ধতিতে মনে করা হয় যে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে নারী-পুরুষের মধ্যে অধিক সমতা বিধান করবে।
৫. ক্ষমতায়ন পদ্ধতি (Empowerment approach) : তৃতীয় বিশ্বের নারীবাদী লেখিকা কর্মীরাই মূলত এ পদ্ধতির উদ্ভাবক। ক্ষমতায়ন পদ্ধতি মনে করে যে, নারী-পুরুষের মধ্যে অসমতা রয়েছে এবং নারী পুরুষের অধঃস্তন। এ অবস্থান জন্য দায়ী প্রধানত পরিবার, ধর্ম, বর্ণ, রক্ত, শ্রেণি ও ঔপনিবেশিক শাসন। বর্তমান অবস্থায় নারীরা আন্তর্জাতিক
অর্থব্যবস্থার দ্বারা নিপীড়িত হয়।
৬. অধিকারভিত্তিক পদ্ধতি (Right-based approach) : রাইট বেজইড এ্যাপ্রোচ দরিদ্র, অবহেলিত ও অধিকারবঞ্চিত মানুষের উন্নয়নের কথা বলে। অধিকারভিত্তিক এ্যাপ্রোচ মানব উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় এমন একটি ধারণা যা সাধারণত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকার মানদণ্ডের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, সময়ের দাবি ও কালের বিবর্তনে ‘উন্নয়নে নারী’ নীতিমালা ভিন্ন ভিন্ন রূপে প্রতিভাত হয়। আর প্রতিটি এ্যাপ্রোচ বা পদ্ধতিই নারী উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে।
পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079