Download Our App


ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079

ডিগ্রী অনার্স বই App এ পেতে Whatsapp এ nock করে User ID নিয়ে Login করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

প্রশ্নের উত্তর

নারীর শারীরিক নির্যাতন সংক্ষেপে আলোচনা কর।

অথবা, নারীকে কিভাবে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়?
উত্তরা৷ ভূমিকা :
কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমষ্টির উপর যখন দৈহিক বা মানসিক চাপ প্রয়োগ করা হয় তখন তাকে নির্যাতন বলে। পিতৃতন্ত্র ও নারী নির্যাতন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। নারীকে নির্যাতনের ভীতি প্রদর্শন করে নারীর উপর পুরুষের আধিপত্য ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণ করা হয়। নির্যাতন দৈহিক হতে পারে, মানসিকও হতে পারে। নারী সমাজের উপর অত্যাচার নিপীড়ন বিভিন্ন পন্থায় হয়ে থাকে। নিম্নে নারীর শারীরিক নির্যাতন সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
নারীর শারীরিক নির্যাতন : যে নির্যাতন সরাসরি নারীর শরীরের উপর করা হয় তাকে শারীরিক নির্যাতন বলে। পারিবারিক নির্যাতনের ৩৮% নির্যাতন হল শারীরিক নির্যাতন। শারীরিক নির্যাতনের বিভিন্ন ধরন হলো মারধর করা, আগুনে পোড়ানো, এসিড মারা ইত্যাদি। যৌতুক, অভাব, পরকীয়া প্রেমে স্বামীকে বাধা দেয়া, শশুরবাড়ির লোকজনের কথা মতো না চলা ইত্যাদি কারণে নারীর উপর নেমে আসে শারীরিক নির্যাতন। নারী বাবা থেকে শুরু করে বড় ভাই, স্বামী এমনকি শ্বশুর শাশুড়ির হাতে শারীরিক নির্যাতনের নির্যাস হয়। যেমন- কয়েকদিন আগে সিলেটে নতুন পুত্রবধূকে শাশুড়ি ও ননদ মিলে গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। অবশেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজে সে মারা যায়। সামান্য কারণে স্বামী স্ত্রীকে চড় থাপ্পড় মারে। স্বামী মনে করে স্ত্রীকে মারার অধিকার তার আছে। আমাদের সমাজের নারীরাও তা মুখ বুঝে সহ্য করে। নারীদের ছোট বেলায় শিখানো স্বামীর মুখের উপর কথা বলতে নেই। ছোট থেকেই স্বামীর অধস্তন ধারণা দিয়ে তাদের বড় করা হয়। অথচ এর পিছনে যথেষ্ট কারণও রয়েছে। কেননা আমাদের দেশে নারীরা আর্থিকভাবে দুর্বল। ফলে পরিবারের ভরণপোষণের জন্য তাকে নির্ভর করতে হয় স্বামীর উপর। ফলে বাধ্য হয়ে স্বামীর নির্যাতন মেনে নিতে হয়। যেমন কয়েকদিন আগে নেত্রকোনায় নেশাগ্রস্ত স্বামী স্ত্রীর কাছে নেশার টাকা না পেয়ে তাকে মারধর করে এবং নিজের ঘর পর্যন্ত জ্বালিয়ে দেয়। বাংলাদেশের ৪৭% নারী ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদের হাতে কোননা কোনভাবে শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়। নারী নির্যাতন শুধু বাংলাদেশে নয় বরং গোটা বিশ্বে লক্ষ্য করা যায়। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ৪৮ সেকেন্ডে একজন নারী শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়।
উপসংহার: পরিশেষে আমরা বলতে পারি, নারী নির্যাতনের সবচেয়ে জঘন্য পর্যায় হলো শারীরিক নির্যাতন। রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে কলেজের শিক্ষক পর্যন্ত নারীদের শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা আমাদের দেশে আছে। তাই নারীর শারীরিক নির্যাতন বন্ধে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।

হ্যান্ডনোট থেকে সংগ্রহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!