Download Our App


ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079

ডিগ্রী অনার্স বই App এ পেতে Whatsapp এ nock করে User ID নিয়ে Login করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

প্রশ্নের উত্তর

নারীর ক্ষমতায়নে সামাজিক বাধাসমূহ কী কী?

অথবা, নারীর ক্ষমতায়নে সামাজিক প্রতিবন্ধকতা বলতে কী বুঝ?
অথবা, নারীর ক্ষমতায়নে সামাজিক বাধা বর্ণনা কর।
অথবা, নারীর ক্ষমতায়নে সামাজিক বাধাসমূহ উল্লেখ কর।
অথবা, নারীর ক্ষমতায়নে সামাজিক প্রতিবন্ধকতা তুলে ধর।
উত্তর৷ ভূমিকা :
বর্তমান বিশ্বে সর্বাধিক আলোচিত বিষয়সমূহের একটি হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন। কেবল মানবেতর অবস্থা থেকে নারীর মুক্তি বা নারী উন্নয়নের জন্যই নয়, এখন সকল সমস্যার সমাধানে প্রধান ও প্রথম ধাপ হিসেবে নারী ক্ষমতায়নকে প্রয়োজনীয় বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ সমস্যা পরিবেশ বিপর্যয়, জনসংখ্যা বিস্ফোরণ, দারিদ্র্য বিমোচন বা নিরক্ষরতা দূরীকরণ যাহোক না কেন নব্বই দশকে বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠিত সকল সম্মেলনে নারীর ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।
নারীর ক্ষমতায়নের সামাজিক বাধা : নারীর ক্ষমতায়নে সামাজিক বাধাসমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলো :
১. পিতৃতান্ত্রিক মূল্যবোধ : নারীর সামাজিক ক্ষমতায়নের পথে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো পিতৃতান্ত্রিক মূল্যবোধ। কেননা আমাদের পিতৃতান্ত্রিক সমাজ জন্মের পর থেকেই ছেলে শিশু ও মেয়ে শিশুর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ শুরু করে। সংসারে ছেলের প্রতি যেভাবে যত্ন নেয়া হয় মেয়েকে সেভাবে দেখা হয় না। পিতৃতান্ত্রিক সমাজে মেয়েরা শৈশবে বাবার পরিচয়ে যৌবনে স্বামীর পরিচয়ে এবং বৃদ্ধকালে ছেলের পরিচয়ে পরিচিত হয়। পিতৃতান্ত্রিক সমাজে নারীর নিজস্ব কোন সম্পদের মালিকানা নেই। তাই নারীকে আর্থিক ও মানসিকভাবে সর্বদা পুরুষের উপর নির্ভর করতে হয়।
২. শিক্ষার অভাব : নারীর সামাজিক ক্ষমতায়নে আরেকটি বড় সমস্যা হলো শিক্ষা ক্ষেত্রে নারীর পশ্চাৎপদতা। অথচ শিক্ষা হলো উন্নয়নের চাবিকাঠি। কিন্তু আমাদের পিতৃতান্ত্রিক সমাজে নারীরা শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার কারণে তাদের উন্নয়ন পিছিয়ে আছে। শিক্ষার অভাবে অধিকাংশ মেয়েদের মধ্যে বিভিন্ন অন্ধবিশ্বাস, গোঁড়ামি ও কুসংস্কার বিদ্যমান যা তাদের ক্ষমতায়ন থেকে দূরে রাখে। শিক্ষার অভাবে নারীরা সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও নিজস্ব জীবন সম্পর্কে অসচেতন থাকে আর এই অসচেতনতা নারীকে অনেক পিছিয়ে রাখে ।
৩. জেন্ডার শ্রম বিভাজন : আমাদের সমাজব্যবস্থা জেন্ডার শ্রম বিভাজনে বিভক্ত। নারী-পুরুষের দৈহিক গঠনের ভিত্তিতে কাজের ক্ষেত্রে যে বিভাজন করা হয় তাই জেন্ডার শ্রম বিভাজন। জেন্ডার শ্রম বিভাজনে পুরুষের শ্রমকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেয়; অন্যদিকে নারীর শ্রমকে কোন মূল্য দেয়া হয় না। জেন্ডার শ্রম বিভাজনের কারণে নারীরা সমাজে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ে। ফলে নারীর সামাজিক ক্ষমতায়নের সমস্যা দেখা দিয়েছে।
উপসংহার : পরিশেষে আমরা বলতে পারি, উপরের আলোচনায় নারীর সামাজিক ক্ষমতায়নে যেসব সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা যদি সঠিকভাবে সমাধান করা যায় তাহলে নারীর সামাজিক ক্ষমতায়ন আশা করা যেতে পারে।

হ্যান্ডনোট থেকে সংগ্রহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!