
ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079
নারীনির্যাতনের প্রকারভেদ সংক্ষেপে আলোচনা কর।
admin
- 0
অথবা, নারীনির্যাতনের বিভিন্ন ধরন উল্লেখ কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : নীতিগতভাবে নারী ও পুরুষ সমান মর্যাদায় অধিকারী হয়েও নারীরা সামাজিক, রাজনৈতিক ও
অর্থনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। একপক্ষের শাসন নীতির ফলে নারীরা নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়। পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা সব সময়ই নির্যাতনের শিকার, যা অনেক ক্ষেত্রে নারীরা সহ্য করে।
নারীনির্যাতনের প্রকারভেদ : নিম্নে বিভিন্ন ধরনের নারীনির্যাতন সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
১. শারীরিক নির্যাতন : বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের মধ্যে সর্বাপেক্ষা সুস্পষ্ট ও সহজে শনাক্তযোগ্য নির্যাতন হচ্ছে শারীরিক নির্যাতন। প্রকৃতপক্ষে অনেকেই নারীনির্যাতন বলতে শারীরিক নির্যাতনকেই বুঝে থাকে। শারীরিক
নির্যাতন বলতে বুঝায় নারীর প্রতি যে কোন ধরনের দৈহিক আক্রমণাত্মক আচরণ। যেমন- ধাক্কা মারা, ঘুষি মারা, চিমটি কাটা, চড় মারা, কামড় দেয়া, চুল ধরে টানা, ছুরিকাঘাত করা, অগ্নিদগ্ধ করা, গরম পানি ঢালা, এসিড নিক্ষেপ করা ইত্যাদি।
২. যৌন নির্যাতন : নারীদের প্রতি যৌন নির্যাতনের মধ্যে পড়ে স্তন, যোনী প্রভৃতি কামোত্তেজন সংবেদনশীল অঙ্গে
আক্রমণ, ধর্ষণ বা জোরপূর্বক যৌনকর্ম হচ্ছে, যৌন নির্যাতনের চূড়ান্ত রূপ। অনেক সময় ধর্ষণের পর হত্যা করার মতো ঘটনা ঘটে থাকে।
৩. মানসিক নির্যাতন : মনস্তাত্ত্বিকভাবেও নারীরা নির্যাতিত হয়ে থাকে। যেমন- নারীকে বা তার প্রিয়ভাজন অন্য কাউকে মৌখিক হুমকি প্রদান, অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ আরোপ। আহার নিদ্রার মতো নিত্যনৈমিত্তিক কাজকর্মে
বাধা প্রদান, সামাজিক সম্পর্কে বাধা দান, মৌখিক অপমান ইত্যাদি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নারী মানসিকভাবে নির্যাতিত হয় ।
৪. যৌতুক সম্পর্কিত নির্যাতন : নারীনির্যাতনের আরেকটি রূপ হলো যৌতুক সম্পর্কিত নির্যাতন। যেমন- কোন নারীকে বিয়ের পর যৌতুক লাভের জন্য স্বামী বা তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের দ্বারা মানসিক বা শারীরিকভাবে নির্যাতন হলো যৌতুক সম্পর্কিত নির্যাতন ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, নারীনির্যাতনের এ ধরনগুলো একজন নারীর ঘরোয়া জীবন ও পারিবারিক আওতায় বা এলাকায় সংঘটিত হয়। এর পিছনে থাকে উক্ত নারীর পারিবারিক সদস্য কিংবা বাইরের তৃতীয় ব্যক্তি।