উৎস : ব্যাখ্যেয় অংশটুকু সুপ্রাবন্ধিক কাজী আবদুল ওদুদের বিখ্যাত প্রবন্ধ ‘বাংলার জাগরণ’ থেকে গৃহীত হয়েছে।
প্রসঙ্গ : মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঈশ্বর প্রেমের স্বরূপ বর্ণনা প্রসঙ্গে আলোচ্য উক্তির অবতারণা করা হয়েছে।
বিশ্লেষণ : পরম ব্রহ্মের সাধক দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ধর্মচিন্তা বাংলার জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেবেন্দ্রনা ঈশ্বরপ্রেমিক পুরুষ ছিলেন। তাঁর জীবনের সমস্ত সম্পদ-বিভবের ভিতর দিয়ে তাঁর এ প্রেমের পরিচয় দেশবাসী পেয়েছে। গুহাপথের যাত্রী হয়েও দেবেন্দ্রনাথ গভীরভাবে জ্ঞানানুরাগী ও সৌন্দর্যনুরাগী ছিলেন। তবু সংসারনিষ্ঠা জ্ঞানানুশীল সৌন্দর্যস্পৃহা সমস্তের ভিতরে ঈশ্বর প্রেমই ছিল তাঁর অন্তরের অন্তরম বস্তু। হাফিজের যে সকল লাইন তাঁর অতিপ্রিয় ছিল তাঁর একটি এ “হরগিজম মোহরে তু আজ লওহে দিল ও জান রওদ”। অর্থাৎ তোমার ছাপ আমার চিত্তফলক থেকে কিছুতেই মুছবে না। দেবেন্দ্রনাথ পৌত্তলিকতা ও অবতারবাদে বিশ্বাসী না হলেও অধ্যাত্মবাদে বিশ্বাস করতেন। তিনি মানুষের চিত্তকে ব্রাহ্ম পাদপীঠ বলে সম্মান দিয়েছেন। দেবেন্দ্রনাথ ব্রাহ্মধর্মের যে রূপ দিয়েছিলেন তাতে তাঁর উচ্চকিত চিত্তের তরঙ্গভিঘাতই বুঝতে পারা যায়। রামমোহনের পর মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্রাহ্ম ধর্মের ব্যাখ্যানই সমাজ গ্রহণ করেছে। ব্রাহ্মধর্মের ভিত্তি ভূমি প্রতিষ্ঠায় এবং বাঙালি-চিত্তের জাগরণে দেবেন্দ্রনাথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
মন্তব্য : দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঈশ্বরপ্রেম তাঁকে অনন্যতা দান করেছে। সব কিছুর উপরে ঈশ্বরপ্রেমকেই তিনি হৃদয়ে ঠাঁই দিয়েছেন।
ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079