অথবা, তত্ত্বাবধানের মাধ্যমসমূহ আলোচনা কর।
অথবা, D. Paul Chowdhury তত্ত্বাবধানের যেসব উপায়ের কথা বলেছেন তা উল্লেখপূর্বক তত্ত্বাবধানের মাধ্যমসমূহ বর্ণনা কর।
উত্তর৷৷ ভূমিকা :
কোনো এজেন্সির লক্ষ্যার্জনের জন্য তত্ত্বাবধান একান্ত প্রয়োজন।কেননা, তত্ত্বাবধান ছাড়া অধীনস্থদের কাছ থেকে কোন কার্যকরী ভূমিকা প্রত্যাশা করা যায় না। তাই তত্ত্বাবধান এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করা হয়।
সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধানের উপায়সমূহ
D. Paul Chowdhury তত্ত্বাবধানের যেসব উপায়ের কথা বলেছেন তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো :
১. কর্মীর কর্মক্ষেত্র ও কাজ পরিদর্শন;
২. কর্মীর সাথে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার;
৩. কর্ম পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা দান;
৪. কর্মীদের সাথে নিয়মিত আলোচনা সভা ও সম্মেলন;
৫. বন্ধুভাবাপন্ন সহকর্মীর ভূমিকায় সহায়তা দান;
৬. কর্ম পরিবেশে কর্মী কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা ও কথোপকথন;
৭. নিয়মিত কর্ম প্রতিবেদন শহণ এবং অনুধাবন;
৮. শিক্ষক বা উপদেশ দাতার ভূমিকায় তত্ত্বাবধান;
৯. পরামর্শদাতা হিসেবে সাহায্য করা;
১০. কর্মে বৈষয়িক-অবৈষয়িক সন্তুষ্টি বিধান ও পুরস্কৃতকরণ।
সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধানের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত উপায় অবলম্বন করা হয়-
১. তদারকি সম্মেলন : বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে তত্ত্বাবধানের মাধ্যম হিসেবে তদারকি সম্মেলন (Supervisory Conference) ব্যবহার করা হয়। এতে কর্মচারীদের সর্বোত্তম উপায়ে কার্যসম্পাদনের উপায় নির্ধারণে সহায়তা করা হয়।এতে প্রশাসনিক এবং প্রশিক্ষণ উভয় দিকই অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তদারকি সম্মেলন ব্যক্তিগত ও দলীয় সম্মেলন এ দু’টি পর্যায়ে সম্পাদিত হয়। ব্যক্তিগত সম্মেলন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক এবং তত্ত্বাবধায়নাধীন কর্মচারীর মধ্যে প্রত্যক্ষ ও সরাসরি সম্মেলন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কর্মচারীদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালানো হয়। আর দলীয় সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে সহায়তা করা হয় ।
২. আলাপ আলোচনা : প্রতিষ্ঠানের কার্যসম্পাদন করতে গিয়ে কর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানযোগ্য যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয়, সেগুলোর সমাধানকল্পে তত্ত্বাবধায়ক ও কর্মচারীদের পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
৩. কর্মবিধি : প্রতিষ্ঠানের কার্যপ্রক্রিয়া, নীতি, সেবাদানের প্রকৃতি এবং কর্মচারীদের করণীয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দান করা হয়।কর্মচারীদের ধারাবাহিক নির্দেশনা দানে সহায়ক হচ্ছে কর্মবিধি।
৪. রেকর্ড সংরক্ষণ : সমাজকল্যাণ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের কার্যাবলি তত্ত্বাবধানের উত্তম মাধ্যম হচ্ছে রেকর্ড সংরক্ষণ প্রক্রিয়া।এর মাধ্যমে কর্মচারী তার কাজের ধারাবিবরণী, সমস্যা সমাধান ইত্যাদি সম্পর্কে তার নিজস্ব মতামতসহ লিপিবদ্ধ করে তত্ত্বাবধায়কের নিকট উপস্থাপন করেন।তত্ত্বাবধায়ক উক্ত রিপোর্ট পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলি প্রদান করেন।
উপসংহার : উপর্যুক্ত উপায়ে তত্ত্বাবধান কাজ সম্পাদিত হয়।এক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ককে কৌশলী হতে হয়।এক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়কের সাথে শিক্ষানবিস কর্মী বা যাকে তত্ত্বাবধান করা হবে তার কাজ সব সময় পর্যবেক্ষণে রাখতে হয়।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8d/
admin

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!