• June 1, 2023

“ডাহুকের ডাক সকল বেদনা যেন সব অভিযোগ যেন হয়ে আসে নীরব নির্বাক।”- ব্যাখ্যা কর।

উৎস : ব্যা্যেয় অংশটুকু ‘সাত সাগরের মাঝি’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘ডাহুক’ শীর্ষক কবিতা থেকে চয়িত হয়েছে।
প্রসঙ্গ : এখানে বিরহী ডাহুকের ডাকে কবি হৃদয়ের চরম অতৃপ্তির দিকটি ফুটে উঠেছে।
বিশ্লেষণ : সমগ্র প্রকৃতি তন্দ্রামগ্ন। কবির চোখে ঘুম নেই। রাত জেগে তিনি শুনছেন ডাহুকের ডাক। অপূর্ব সে সুর মূর্ছনায় কবি ভাবমগ্ন হয়ে পড়েন। কবির কল্পনাবিলাসী রোমান্টিক মনে ডাহুক অপূর্ণতা ও অপ্রাপ্তির ঝড় তোলে। কবির অন্তর্লোকে যে ঋষিসত্তা বিদ্যমান তা বেদনায় নীল হয়ে পড়ে। কবি আজন্ম যে আত্মমুক্তির সাধনা করে চলেছেন তা আজ ব্যর্থতায় পর্যবসিত।
নিজের জড়সত্তাকেই কবি বড় করে দেখেছেন। ডাহুকের মতো একনিষ্ঠ হয়ে তিনি কখনই পরম প্রভুকে ডাকতে পারেননি। কবি আজ উপলব্ধি করেন একমাত্র ডাহুক সমস্ত পাপ পঙ্কিলতার ঊর্ধ্বে। মানুষের মতো কদর্যের দলে সে নেই। তাই সে মুক্তকণ্ঠে ডেকে যেতে পারে। ডাহুকের ডাক কবিকে এনে দেয় এক ধরনের আত্মিক প্রশান্তি। কবির বেদনাক্লিষ্ট হৃদয়ে ডাহুকের সুর এক ধরনের স্নিগ্ধতা এনে দেয়। কবি আত্মমুক্তির পথে ডাহুকের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। সমস্ত অতৃপ্তি ভুলে কবি ডাহুকের মতো একনিষ্ঠতায় মুক্তি লাভ করতে চান।
মন্তব্য : ডাহুকের ডাকে কবি পুরান হিসাব নিকাশ চুকিয়ে আত্মমুক্তির নতুন পথ খুঁজে পেয়েছেন।

হ্যান্ডনোট থেকে সংগ্রহীত
পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!