General Knowledge

জৈন পরমাণুর সাথে ন্যায়, বৈশেষিক ও গ্রিক পরমাণুর পার্থক্য লিখ।

অথবা, জৈন পরমাণুর সাথে ন্যায়, বৈশেষিক ও গ্রিক পরমাণুর বৈসাদৃশ্য লিখ।
অথবা, জৈন পরমাণুর সাথে ন্যায়, বৈশেষিক ও গ্রিক পরমাণুর কী কী অমিল রয়েছে?
উত্তর৷৷ ভূমিকা :
দর্শনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, জৈন দর্শন একটি প্রাচীন দর্শন। জৈনরা দর্শনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন তার মধ্যে অন্যতম হলো দ্রব্য। তারা বস্তুবাদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দ্রব্য সম্পর্কে। আলোচনা করেছেন। তারা দ্রব্য সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে পরমাণুবাদ প্রতিষ্ঠা করেন। জৈনদের পরমাণুবাদ অন্যান্য পরমাণুবাদ থেকে বিভিন্নভাবে পৃথক যা নিয়ে আলোচনা করা হলো :
জৈন পরমাণু : জৈন মতে পরমাণু হলো জড়ের অবিভাজ্য ক্ষুদ্রতম একক। একে আর বিভাজ্য করা যায় না। এদের কোন অংশ নেই ৷ পরমাণু সংখ্যা অনেক, তবে এদের মধ্যে কোন গুণগত পার্থক্য নেই। সব পরমাণুর মধ্যেই একই রকম গুণ বিদ্যমান। এ পরমাণুগুলো জড় জগতের মৌলিক উপাদান। জৈনদের সাথে ন্যায় বৈশেষিকদের পার্থক্য বা তুলনা :
১ ন্যায় বৈশেষিক মতে পরমাণুগুলোর মধ্যে গুণগত পার্থক্য আছে। কিন্তু জৈন মতে, পরমাণুগুলোর মধ্যে কোন গুণগত পার্থক্য নেই।
২. ন্যায় বৈশেষিক মতে, পরমাণুগুলো চার জাতীয় এবং এক জাতীয় পরমাণু অন্য জাতীয় পরমাণু হতে ভিন্ন। কিন্তু
জৈনদের মতে, সব পরমাণু এক জাতীয় এবং সমগুণ বিশিষ্ট।
৩. গ্রিক পরমাণুবাদী ডিমোক্রিটাস এর মতে পরমাণুগুলোর পরিমাণগত পার্থক্য আছে কিন্তু পরমাণুর কোন বিশিষ্ট গুণ নেই। আর জৈন মতে, পরমাণুগুলোর পরিণামগত কোন পার্থক্য নেই। কিন্তু এরা গুণবিশিষ্ট।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, জৈন পরমাণুর সাথে ন্যায় বৈশেষিক ও গ্রিক পরমাণুবাদের বিস্তর পার্থক্য রয়েছে এবং জৈন পরমাণু অন্যান্য পরমাণুবাদ থেকে একটি স্বতন্ত্র্য মতবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!