General Knowledge

জাতিবর্ণ প্রথার অসুবিধা সমূহ লিখ?

অথবা, জাতিবর্ণ প্রথার অসুবিধাসমূহ কী কী? লেখ।
অথবা, জাতিবর্ণ প্রথার অসুবিধাসমূহ উল্লেখ কর।
অথবা, জাতিবর্ণ প্রথার অসুবিধাসমূহের পরিচয় দাও।
উত্তর৷ ভূমিকা :
জাতিবর্ণ হলো একটি বদ্ধগোষ্ঠী। যখনই কোন গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে উত্তরাধিকারসূত্রের বিচার করা হয়, তখনই তাকে নির্দিষ্ট জাত বা জাতিবর্ণে অভিহিত করা হয়। বস্তুত জাতিবর্ণ ব্যবস্থা হচ্ছে সামাজিক স্তরবিন্যাসের একটি সুকঠোর ব্যবস্থা।
জাতিবর্ণ ব্যবস্থার অসুবিধাসমূহ : নিম্নে জাতিবর্ণ ব্যবস্থার অসুবিধাসমূহ উল্লেখ করা হলো :
১.সনাতন জাতিবর্ণ প্রথায় জন্মগত পেশা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় কারও নতুন পেশা গ্রহণের ক্ষেত্রে সামাজিক বাধার সৃষ্টি হয়। অবশ্য এক্ষেত্রে বর্তমানে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় ।
২.ঐতিহ্যবাহী এ প্রথাটির ফলে শ্রম ও পুঁজির গতিশীলতা বাধাপ্রাপ্ত হয়। কেননা প্রয়োজনীয় শ্রম ও পুঁজি থাকলেও তা ভিন্ন পেশায় বিনিয়োগ করা সম্ভব হয় না। তবে এক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসছে।
৩.জাতিবর্ণ প্রথার প্রভাবে সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী সামাজিক অবমাননার শিকারে পরিণত হয়। কারণ এ প্রথায় নিচু জাতিবর্ণকে সমাজের সামনে ছোট করে দেখা হয়, তারা হেয় প্রতিপন্ন এবং উৎপীড়িত হন।
8.এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, জাতিবর্ণ প্রথা সামাজিক অসমতার সৃষ্টি করে। জাতিবর্ণ প্রথাটি নতুন উদ্যোগ গ্রহণে সৃজনশীলতায় এবং আবিষ্কারের পথে প্রতিবন্ধক। কেননা এটা এসবকে নিরুৎসাহিত করে।
৫. অস্পৰ্শতা, অমানবিক ও অর্থনৈতিক তাই এটাকে সামাজিক মহা অপরাধ (Social enormity) বলা হয়েছে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, জাতিবর্ণ ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজে উচু-নিচু ভেদাভেদের পার্থক্য সৃষ্টি করে যা মানুষের মানবিকতা, আদর্শকে অনেক সময় সংকীর্ণ করে তোলে এবং এরই ফলে যুগ যুগ ধরে সমাজে চরম বৈষম্য বিরাজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!