ঙ. নয়নচারা : সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
ক-বিভাগ / অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১. বাংলাদেশের ঔপন্যাসিকদের মধ্যে প্রথম আধুনিক শিল্পী হলেন-
উত্তর : সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্।
২. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ কোথায় কখন জন্মগ্রহণ ও মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : চট্টগ্রামের ষোলশহরে জন্মগ্রহণ করেন, জন্ম ১৫ আগস্ট ১৯২২ সালে, মৃত্যু ১৯৭১ সালে।
৩. প্রথম জীবনে ওয়ালীউল্লাহ্ কোন কাজে নিযুক্ত ছিলেন?
উত্তর : কলকাতার ইংরেজি দৈনিক স্টেটসম্যানের সম্পাদকীয় দপ্তরে যোগদান করেন।
৪. দেশবিভাগের পর কোথায় চাকরি করেন?
উত্তর : ঢাকা বেতার কেন্দ্রে চাকরি করেন।
৫. পরবর্তীতে চাকরি নিয়ে কোথায় চলে যান?
উত্তর : চাকরি নিয়ে বিদেশে চলে যান।
৬. জীবনের শেষ দিনগুলো ওয়ালীউল্লাহ্ কোথায় চাকরি করেন?
উত্তর : প্যারিসের ইউনেস্কোতে চাকরি করেন।
৭. জীবনের অধিকাংশ সময়টা তিনি কোথায় কাজ করেন?
উত্তর : জীবনের বেশিরভাগ সময়টা বিদেশে কাটান।
৮. কলকাতা থাকাকালীন লেখক কোন গ্রন্থটি রচনা করেন?
উত্তর : ‘নয়নচারা’ গল্পটি।
৯. ওয়ালীউল্লাহর লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে কী হিসেবে?
উত্তর : ছোটগল্প রচয়িতা হিসেবে।
১০. তাঁর প্রথম গল্প দুটি কী কী?
উত্তর : ‘নয়নচারা’ এবং ‘দুই তীর’ ।
১১. ‘নয়নচারা’ কত সালে প্রকাশিত হয়?
উত্তর : ১৯৪৫ সালে।
১২. ‘দুই তীর’ ছোটগল্পটির প্রকাশকাল?
উত্তর : ১৯৬৫ সালে।
১৩. ওয়ালীউল্লাহ্র ‘নয়নচারা’ গল্পে কতটি গল্প আছে?
উত্তর : ৭টি।
১৪. ‘নয়নচারা’ গল্পগ্রন্থের গল্পগুলোর নাম কী কী?
উত্তর : নয়নচারা, মৃত্যু যাত্রা, রক্ত, সেই পৃথিবী, জাহাজী, পরাজয় এবং খুনী।
১৫. ওয়ালীউল্লাহ্র গল্পে কোন চিত্র বেশি প্রাধান্য পেয়েছে?
উত্তর : তাঁর গল্পে গ্রাম বাংলার ধর্মান্ধতা ও কুসংস্কারের বাস্তবচিত্র অঙ্কিত হয়েছে।
১৬. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ কোন গল্প গ্রন্থের জন্য আদমজী পুরস্কার লাভ করেন?
উত্তর : ‘দুই তীর’ গল্পগ্রন্থটির জন্য।
১৭. উপন্যাসগুলোর নাম কী কী?
উত্তর : লালসালু (১৯৪৮), চাঁদের অমাবস্যা (১৯৬৪) এবং কাঁদো নদী কাঁদো।
১৮. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র প্রথম উপন্যাস কোনটি?
‘উত্তর : ‘লালসালু’
১৯. ‘লালসালু’র ইংরেজি অনুবাদের নাম কী?
উত্তর : Tree Without Roots.
২০. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ কোন রচনার ইংরেজি অনুবাদ ইউনেস্কো থেকে প্রকাশিত হয়?
উত্তর : ‘লালসালু’র।
২১. সৈয়দ ওয়ালীউল্লার কোন কোন গল্পে আদৌ কোন সংলাপ নেই?
উত্তর : পাগড়ী, কেরায়া, নিষ্ফল জীবন নিষ্ফল যাত্রা, মতিনউদ্দিনের প্রেম।
২২. ‘নয়নচারা’ গল্পটি কোন গ্রন্থের অন্তর্গত?
উত্তর : ‘নয়নচারা’।
২৩. ‘নয়নচারা’ গল্পের প্রধান প্রধান চরিত্রের নাম লেখ।
উত্তর : আমু, ভুতনি, ভূতো।
২৪. ‘নয়নচারা’ গল্পের কাহিনি আবর্তিত হয়েছে কাকে কেন্দ্র করে?
উত্তর : আমু চরিত্রকে কেন্দ্র করে।
২৫. আমু গ্রাম ছেড়ে কোথায় আসে?
উত্তর : শহরে আসে।
২৬. আমুদের গ্রামের নাম কী?
উত্তর : নয়নচারা।
২৭. নয়নচারা গ্রামের নদীটির নাম কী?
উত্তর : ময়ূরাক্ষী।
উত্তর : ময়ূরাক্ষী নদীর সাথে।
২৮. শহরে জনশূন্য রাস্তাটাকে আমু কীসের সাথে তুলনা করে?
উত্তর : ময়ূরাক্ষী নদীর সাথে।
২৯. আমুর মনের চরে কী আসে?
উত্তর : ঘুমের বন্যা।
৩০. লেখক গল্পের কাহিনি কোথা থেকে গ্রহণ করেছেন?
উত্তর : আমাদের চেনাজানা পরিবেশ থেকে।
৩১. ‘নয়নচারা’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র আমু কে?
উত্তর : আমু নয়নচারা গ্রামের উদ্বাস্তু কিশোর।
৩২. আমু শহরে পাড়ি জমায় কেন?
উত্তর : ক্ষুধার জ্বালায় অস্থির হয়ে শহরে আসে।
৩৩. আমুরা রাতে কোথায় ঘুমায়?
উত্তর : শহরে ফুটপাতে ৷
৩৪. শহরে ফুটপাতে তারা কীসের মতো পড়ে থাকে?
উত্তর : খড়কুটোর মতো।
৩৫. কার চোখে সহজে ঘুম আসে না?
উত্তর : আমুর চোখ।
৩৬. আমুর মন কোথায় জেগে থাকে?
উত্তর : চেনা নদীর ধারে।
৩৭. আমুর কল্পনায় জেলে ডিঙিগুলোর খোদল কীসে ভরে ওঠে?
উত্তর : বড় চকচকে মাছে।
৩৮. জেলেদের ট্যাক ভরে উঠবে কীসে?
উত্তর : বড় চকচকে মাছ বিক্রির টাকায়।
৩৯. কে রাতে বেশি কাশে?
উত্তর : ভূতনি।
৪০. কে ঘুমের মধ্যে জেগে ওঠে?
উত্তর : ভূতনি।
৪১. কার গলায় ঘড় ঘড় একটা আওয়াজ হয়?
উত্তর : ডুতোর গলায়।
৪২. পাখা গুটিয়ে নিশ্চল হয়ে বসে আছে কে?
উত্তর : নীরবতা।
৪৩. পর্বতের মতো দীর্ঘ, বৃহৎ ও দুর্লঙ্ঘ্য কী?
উত্তর : ঘনায়মান কালো রাত।
৪৪. আমু কোথা থেকে কুকুরের তাড়া খেয়েছে?
উত্তর : খাবারের দোকান থেকে।
৪৫. ‘নয়নচারা’ গল্পে লেখক কীসের কীসের সমন্বয় ঘটিয়েছেন?
অথবা, ‘নয়নচারা’ গল্প বর্ণনায় গল্পকার কোন জাতীয় শিল্পকৌশল অবলম্বন করেছেন?
উত্তর : মনঃসমীক্ষণের সাথে পরাবাস্তবতার।
৪৬. ভুতনির কাশিতে কার মনের কুয়াশা কাটে?
উত্তর : আমুর।
৪৭. . আমু ঘনায়মান কালো রাতে কোন দিকে তাকায়?
উত্তর : আকাশ পানে তারার দিকে।
৪৮. আমুর মতে তাদের গ্রামের পরিবেশ কেমন ছিল?
উত্তর : ঢালা মাঠ, ভাঙা মাটি, শস্য আর ময়ূরাক্ষী নদীর শান্ত পরিবেশ।
৪৯. আমুর মতে শহরের পরিবেশ কেমন?
উত্তর : খাদ্যহীন, দয়ামায়াহীন— শুধু নিষ্ঠুর বৈরিতা এবং হিংসাবিদ্বেষপূর্ণ।
৫০. আমুর কল্পনায় শহরে শয়তানের হাতে কী ছিল?
উত্তর : একটা বিড়ি।
৫১. আলোক রেখাটা সহজে কে পার হয়ে যায়?
উত্তর : শয়তানটা ।
৫২. কার চোখে পরাজয়ের ঘুম নামে?
উত্তর : আমুর।
৫৩. কার দোকানে মাছি বোঁ- বোঁ করে?
উত্তর : ময়রার দোকানে।
৫৪. কার চোখে নেই কোমলতা শুধু পাশবিকতা ছাড়া?
উত্তর : ময়রার চোখে।
৫৫. কার চোখ ভয়ঙ্কর ধকধক করে জ্বলে?
উত্তর : ময়রার চোখ ।
৫৬. কী দেখে আমুর চোখ জুড়ায়?
উত্তর : দোকানে ঝোলানো ক কাড়ি কলা দেখে।
৫৭. ‘হলুদ রঙ স্বপ্ন ঝুলছে।’- কী নির্দেশ করা হয়েছে ‘নয়নচারা’ গল্পে?
উত্তর : দোকানে ঝোলানো ক কাড়ি কলা।
৫৮. শহরে কার চোখে বৈরিতা নেই?
উত্তর : কুকুরের।
৫৯. কার মুখ দিয়ে ফিনকি দিয়ে রক্ত ছুটেছিল?
উত্তর : করিম মিয়ার মুখ দিয়ে।
৬০. রক্ত ছোটার সাথে কীসের তুলনা করা হয়েছে?
উত্তর : লালপেড়ে শাড়ি।
৬১. লালপেড়ে শাড়ি পরে কারা?
উত্তর : একটি মেয়ে (কল্পনায় নয়নচারা গ্রামের ঝিরা)।
৬২, মেয়েটি আমুকে ক পয়সা দান করে?
উত্তর : দু’পয়সা।
৬৩. ভুতনির ভাইয়ের নাম কী?
উত্তর : ভুতো।
৬৪. কার কান্না কাশির মধ্যে হারিয়ে যায়?
উত্তর : ভুতনির কান্না ৷
৬৫. আমুর শোনা কথায়- শহরে লোকেরা অন্ধ হলে কী করে?
উত্তর : শোভার জন্য নকল চোেখ পরে।
৬৬. কে মৃত্যুকে পেরিয়ে এসেছে?
অথবা, কে মৃত্যুহীনতার উন্মুক্ত সদর রাস্তায় এসে পড়েছে?
উত্তর : আমু।
৬৭. ‘নয়নচারা’ গল্পে বাংলা কোন মাসের নাম উল্লেখ আছে?
উত্তর : বোশেখ মাসের।
৬৮. দরজা খুলে আমুকে এক মুঠো ভাত দেয় কে?
উত্তর : একটি মেয়ে (আমুর মতে নয়নচারা গায়ে মায়ের বাড়ি)।
৬৯. ঘনায়মান কী?
উত্তর : ঘনিয়ে আসা; ঘনীভূত।
৭০. পঙ্গরখানা কী?
উত্তর: ভুখা-নাঙা মানুষদের খাবার সরবরাহ করার জন্য তৈরি সরাইখানা। এখান থেকে দুর্যোগাক্রান্ত মানুষকে বাদ্যসামগ্রী দেয়া হয়।