রকেট সাজেশনরকেট সাজেশন

অথবা, কাহিনি সংপ্রত্যক্ষণের সংজ্ঞা দাও।উত্তর:

ভূমিকা :কাহিনি সংপ্রত্যক্ষণ” বলতে বোঝায় যে একটি কাহিনি বা ঘটনা যা তৎকালীনভাবে বা আশ্বাসের সাথে বলা হচ্ছে, অথবা যা সহীত তৎকালীন অবস্থানে বা দর্শকের সামনে প্রস্তুত হচ্ছে। এটি আমরা সাধারণভাবে “কাহিনি পড়ার মুহূর্ত” বা “সত্যি কথা” এর সাথে সম্পর্কিত করতে পারি।সংপ্রত্যক্ষণের কাহিনি হলো এমন একটি গল্প বা উপন্যাস যা সম্প্রত্যক্ষ সময়ে ঘটে এবং মুখ্যতঃ একটি সংঘটনার ঘটনা বা সম্ভাব্য দৃশ্যের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এই ধরনের কাহিনি সাধারণভাবে ছোট এবং সংক্ষেপে লেখা হয় এবং সাধারণ সময়ে পাঠকের সাথে সম্পর্কিত অনুভূতি বা আবেগ তৈরি করে।

কাহিনি সংপ্রত্যক্ষণ অভীক্ষা : ১৯৩৫ সালে আমেরিকান মনোবিজ্ঞানী মারে (Murry) ও মর্গান (Morgan) সর্বপ্রথম কাহিনি সংপ্রত্যক্ষণ অভীক্ষা প্রণয়ন করেন। এ অভীক্ষায় মোট ২০টি কার্ড থাকে। এর মধ্যে ১৯টি কার্ড ছবিযুক্ত এবং শুধু একটি কার্ড ফাঁকা বা সাদা থাকে। পরীক্ষণপাত্রকে এ অভীক্ষার প্রত্যেকটি ছবি থেকে একটি কাহিনী রচনা করতে বলা হয়। কাহিনি রচনার ধারা হবে ছবিটিতে কি দেখা যাচ্ছে, কি ঘটছে, ছবিতে লোকগুলো কি ভাবছে, কীভাবে কাহিনির সূত্রপাত হয়েছিল এবং এর পরিণতি কি হবে। পরীক্ষণ পাত্র প্রত্যেকটি ছবি থেকে একটি করে গল্প বা কাহিনি লেখার পর তাকে ফাঁকা বা | সাদা কার্ডটি দেওয়া হয়। পরীক্ষণপাত্রকে সাদা কার্ডে একটি ছবি কল্পনা করে নিয়ে সে সম্পর্কে তাকে একটি গল্প বা কাহিনি লিখতে বলা হয়। পরীক্ষণ কাহিনির মূল বিষয়বস্তু উদ্ঘাটন করতে চেষ্টা করেন এবং তা থেকে ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ প্রেষণা এবং দ্বন্দ্বসমূহ অনুসন্ধান করেন। পরীক্ষণপাত্র ছবিগুলো দেখে যেসব কাহিনি রচনা করে তার সাহায্যে পরীক্ষক পরীক্ষণপাত্রের ইচ্ছা, আশা-আকাঙ্ক্ষা, মনোভাব, প্রেষণা, আবেগ, কল্পনাশক্তি, দূরদৃষ্টি প্রভৃতি জানার চেষ্টা করেন এবং এর সাহায্যে ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব নির্ণয় করেন। পরীক্ষণপাত্রের গল্প বা কাহিনিগুলোতে ব্যক্তিত্বের সাফল্যাঙ্ক নিরূপণ করা হয় ।

ক.গল্পের ধরন, দৈর্ঘ্য, ভাষা, মৌলিকতা, বিষয়বস্তু,বৈচিত্র্য সংগঠন ক্ষমতা প্রভৃতি ।

খ. কাহিনির মূল বক্তব্য, ব্যর্থতা, দ্বন্দ্ব ইত্যাদি ।

গ. একাত্মীকরণ, নায়ক নির্বাচন ইত্যাদি।

ঘ. কর্তৃত্বসম্পন্ন ব্যক্তি ও যৌনতা সম্পর্কে ব্যক্তির প্রতিক্রিয়া।

ঙ.কাহিনির উপসংহারের সাথে অন্যান্য অংশের সম্পর্ক।

উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, উপযুক্ত কর্মে উপযুক্ত কর্মী নিয়োগের জন্য ব্যক্তিত্ব মূল্যায়নের গুরুত্ব অপরিহার্য। সাম্প্রতিককালে কর্মের ক্ষেত্রে ভিন্নতা এবং বৈচিত্র্যের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়াতে বিশেষ বিশেষ কর্মে সাফল্য অর্জনের জন্য এসব কর্মের উপযোগী মানসিক সংগঠন বা ব্যক্তিত্বসম্পন্ন লোকের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম বলে প্রমাণিত হয়েছে। পরিশেষে বলা যায় যে, কোনো বিশেষ কর্মের জন্য কি ধরনের ব্যক্তিত্বসম্পন্ন লোক যথার্থ তা নির্ধারণের জন্য ব্যক্তিত্ব পরিমাপ করা জরুরি।

admin

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!