কল্যাণমুখী পদ্ধতির সীমাবদ্ধতাসমূহ কী কী?
অথবা, কল্যাণমুখী পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা বলতে কী বুঝ?
অথবা, কল্যাণমুখী পদ্ধতির ত্রুটিগুলো লিখ।
অথবা, কল্যাণমুখী পদ্ধতির সমস্যাসমূহ উল্লেখ কর।
অথবা, কল্যাণমুখী পদ্ধতির নেতিবাচক দিক উল্লেখ কর।
অথবা, কল্যাণমুখী পদ্ধতির দূর্বল দিক তুলে ধর।
উত্তর৷ ভূমিকা : নারী উন্নয়নে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদ্ধতির উদ্ভব হয়। তেমনি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হলো কল্যাণমুখী পদ্ধতি। একমাত্র কল্যাণমুখী পদ্ধতির মাধ্যম নারীকে একজন আদর্শ মা ও স্ত্রী হিসেবে উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত করা হয়। কিন্তু এ পদ্ধতিরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ কারণে অনেক সময় কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।
কল্যাণমুখী পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা : নিম্নে কল্যাণমুখী পদ্ধতির সীমাবদ্ধতাসমূহ আলোচনা করা হলো :
১.এ পদ্ধতিতে নারীকে পরোক্ষ উপকারভোগী বা গ্রাহক হিসেবে বিবেচনা করা হয়; উন্নয়নের সক্রিয় এজেন্ট বা চালিকারূপে নয়।
২. কল্যাণমুখী পদ্ধতি পরিবারনির্ভর। এতে নারীর প্রজননমূলক ভূমিকাকে মুখ্য করে তোলা হয়েছে এবং উন্নয়নে একমাত্র পুরুষের ভূমিকাকে স্বীকার করা হয়েছে।
৩. এ পদ্ধতির মাধ্যমে উন্নয়নে এমন ব্যবস্থা নেয়া হয় যে, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা হয় না।
8.কল্যাণমুখী পদ্ধতি নারীদের আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের পরিবর্তে আরো পরিবর্তনশীল করে তোলে। তাই নারী
স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ পায় না।
৫.এ পদ্ধতি নারীর মর্যাদা, ক্ষমতা, অধিকার বৃদ্ধি এসব কৌশলগত জেন্ডার চাহিদা পূরণ সহায়তা করে না।
৬. কল্যাণমুখী পদ্ধতিতে পুরুষরাই মূলত শ্রমশক্তি, পরিবার প্রধান এবং বাইরের জগতের প্রতিনিধিরূপে বিবেচিত হয়।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায়, নারী উন্নয়নে কল্যাণমুখী পদ্ধতির কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও সার্বিক বিচারে নারীকে উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত করতে কল্যাণমুখী পদ্ধতির কোনো বিকল্প নেই।