Download Our App


ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079

ডিগ্রী অনার্স বই App এ পেতে Whatsapp এ nock করে User ID নিয়ে Login করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

প্রশ্নের উত্তর

ইসলাম ধর্মে নারী নেতৃত্ব সম্পর্কে কী কী বলা হয়েছে?

অথবা, ইসলাম ধর্মে নারীর নেতৃত্ব সম্পর্কে আলোচনা কর।
অথবা, ইসলাম ধর্ম অনুসারে নারী নেতৃত্ব সম্পর্কে বর্ণনা কর।
অথবা, ইসলাম ধর্মে নারী নেতৃত্ব সম্পর্কে কী বলা হয়েছে?
অথবা, ইসলাম ধর্ম অনুসারে ‘নারী নেতৃত্ব’ সম্পর্কে যা জান লিখ।
উত্তর৷ ভূমিকা :
ইসলামে নেতৃত্বের যোগ্যতা নির্ভর করে সদগুণাবলি ও দক্ষতার উপর। সেক্ষেত্রে নারী বা পুরুষ স্বীয় যোগ্যতায় নেতৃত্বের আসন লাভ করতে পারে। এ ব্যাপারে ইসলামে কোন বাধা নেই। বিশেষ কোন কারণ না থাকলে, যে কাজ পুরুষের জন্য বৈধ তা নারীর জন্যও বৈধ। তবে কোন রাষ্ট্রের বিশেষত ইসলামি রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে মুসলিম
জাতীয় সর্বোচ্চ নেতৃত্বের পদে নারী অধিষ্ঠিত হতে পারে কি না এ বিষয়ে মতভেদ দেখা যায়।
বিপক্ষে মতামত : অধিকাংশ ইসলামি বিশেষজ্ঞের মতে কোন রাষ্ট্রের খলিফা বা প্রধান কোন নারী হতে পারে । না। তাদের মতে সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালনের মতো কঠিন ও স্পর্শকাতর বিষয় অবশ্যই পুরুষের হাতে থাকা প্রয়োজন। যেহেতু পুরুষ নারীর তুলনায় দৃঢ়তর ও শক্তিধর তাই এক্ষেত্রে পুরুষের প্রাধান্য স্বীকৃত। রাসূল (স) বলেছেন, “যে জাতি কখনোই সফল হতে পারবে না। (বুখারী : হাদীস নং ৪৪২৫)। পবিত্র কোরআন শরীফেও বলা হয়েছে, “পুরুষ নারীর পরিচালক, কারণ আল্লাহ্ তাদের এক শ্রেণিকে অপর শ্রেণির উপর প্রাধান্য দিয়েছেন…………..।”
পক্ষে মতামত : কোন কোন ইসলামি চিন্তাবিদ মনে করেন, নারীদের ক্ষেত্রে নারীর নেতৃত্ব সর্বতোভাবেই বৈধ এবং বাঞ্ছনীয়। ইবনে জারীর তাবারী মনে করেন, নারী রাষ্ট্র প্রধানও হতে পারবে। তাঁরা কুরআন ও হাদিস বিশ্লেষণ করে বলেন, “নারী ও পুরুষভেদে অধিকারের ক্ষেত্রে কোন পার্থক্য নেই। নারী ও পুরুষ সর্বদিক থেকে একই রকম নয়। তার অর্থ এই নয় যে, কোন বিশেষ অধিকার কোন বিশেষ শ্রেণির জন্য সুনির্দিষ্ট।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ইসলামের সামগ্রিক অভিপ্রায় ও অন্যান্য হাদিস বিবেচনা করলে নারীদের ক্ষেত্রে নারীর নেতৃত্ব বৈধ ও বাঞ্ছনীয় হলেও ইসলামি রাষ্ট্র নারীর জন্য সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব বৈধ নয়। কারণ ইসলামি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমামতি করেন। যেহেতু নারী ও পুরুষ একই সাথে সালাত আদায় করলে কোন নারীর ইমামতি করার বিধান নেই সেহেতু রাষ্ট্র প্রধানের দায়িত্ব পালন কোন নারীর জন্য বৈধ নয়।

হ্যান্ডনোট থেকে সংগ্রহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!