
ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কী?
admin
- 0
অথবা, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে যা জান লিখ।
উত্তরা৷ ভূমিকা : বাঙালির জাতীয় জীবনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাঙালি ছাত্রসমাজ মাতৃভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার অধিকারে রাজপথে আত্মত্যাগ করেন এবং রক্তের বিনিময়ে মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠা করেন। নিচে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বর্ণনা করা হলো :
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস : ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের জন্য এক গৌরবময় দিন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার অধিকার ও বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য সালাম, রফিক, শফিক, জব্বারসহ বাংলার অগণিত দামাল ছেলে বুকের তাজা রক্ত উৎসর্গ করেছিল। তাদের আত্মত্যাগ ও
রক্তের বিনিময়ে মাতৃভাষা বাংলার অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে প্রয়াত শিক্ষা মন্ত্রী জনাব এ. এইচ. এস. কে সাদেক জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কো UNESCO এর ৩১তম অধিবেশনে মহান একুশে ফেব্রুয়ারিকে
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সর্বপ্রথম বাংলাদেশ সহ ১৮৮টি দেশে এ দিনটি জাঁকজমকভাবে উদ্যাপিত হয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মাতৃভাষায় কথা বলা এবং মাতৃভাষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে বিশ্ব নেতারা বাঙালির রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মাতৃভাষার অধিকারকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। ২১ ফেব্রুয়ারিকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্যই ইউনেস্কো UNESCO একুশে ফেব্রুয়ারিকে মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা
দেয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতিকে মহিমান্বিত করেছে বিশ্ব দরবারে।