General Knowledge

আওয়ামী মুসলিম লীগের কর্মসূচিগুলো সংক্ষেপে আলোচনা কর।

অথবা, আওয়ামী লীগের কর্মসূচি উল্লেখ কর।
অথবা, আওয়ামী মুসলিম লীগের ইশতেহার সংক্ষেপে আলোচনা কর।
অথবা, আওয়ামী মুসলিম লীগের ভূমিকা লিখ।
উত্তর৷ ভূমিকা :
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হওয়ার পরপরই দলটির নেতৃবৃন্দ মিলে একটি ম্যানিফেস্টো বা ইশতেহার ঘোষণা করেন। এ ইশতেহারের উদ্দেশ্য ছিল মুসলিম লীগের শাসন ও শোষণের অবসান ঘটানো এবং পূর্ব বাংলার প্রাপ্য ন্যায্য অধিকারসমূহ আদায়।
আওয়ামী মুসলিম লীগের কর্মসূচিসমূহ : নিচে আওয়ামী মুসলিম লীগের কর্মসূচিসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো :
১. পাকিস্তানকে একটি জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এর সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জনগণের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণ থাকবে।
২.পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান নামে রাষ্ট্রের দুটি ইউনিট থাকবে।
৩.ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে প্রদেশগুলোকে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করা হবে।
৪. সরকারি আমলারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভাতা পাবে না এবং তাদেরকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে না।
৫. সরকারি কর্মচারীরা সমালোচনার সম্মুখীন হবেন এবং তাদের অপরাধের বিচার করা হবে।
৬. সকল নাগরিকের জন্য মৌলিক মানবাধিকার যেমন- চলাফেরার স্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা প্রভৃতি প্রদান করা হবে।
৭. সকল নাগরিকের জন্য পেশা নির্বাচনের অধিকার প্রদান করা হবে।
৮. সর্বজনীন বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
৯. প্রতিরক্ষা বাহিনীতে সকল যোগ্যতাসম্পন্ন নাগরিকের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে এবং সকল নাগরিকের জন্য সামরিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে।
১০. কাউকে বিনা বিচারে আটক রাখা যাবে না।
১১. বিনা খেসারতে জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ করা হবে এবং সকল মধ্যস্বত্বভোগ বিলোপ করা হবে।
১২. সকল জমি জাতীয়করণ করা হবে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আওয়ামী লীগ জনমুখী দল হওয়ার প্রচেষ্টায় তাদের ইশতেহার ঘোষণা করেছিল। তাদের এ ইশতেহারে একটি আধুনিক পাকিস্তান গড়ে তোলার রূপরেখা ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!